‘মাইল্ড স্ট্রোক না, খালেদা জিয়ার সুগার ফল করেছিল’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মাইল্ড স্ট্রোক নয়, বরং কিছু সময়ের জন্যে সুগার ফল করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার দুপুরে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যে বিষয়টাকে তারা মাইল্ড স্ট্রোক বলছে, আমাকে আইজি প্রিজন যেটা বলছেন, তিনি বলছেন যে এটা মাইল্ড স্ট্রোক না। সুগার ফল করেছিল কিছুক্ষণের জন্য। এরপরে একটা চকলেট খাওয়ানোর পর আপাতত, হয়তো কোনো অবনতি ঘটতে পারতো। সে অবনতি রোধ করা গেছে। সেখানে মাইল্ড স্ট্রোকের বিষয়টা উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলছেন। কিন্তু আইজি প্রিজন বলছেন যে, সেখানে হাসপাতালে, জেলে যে কর্তব্যরত চিকিৎসক আছেন, তিনি বলছেন যে এটা সুগার ফলের বিষয়, মাইল্ড স্ট্রোকের বিষয় নয়। তারপরও বেগম জিয়াকে অনুরোধ করা হচ্ছে, বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যদি চিকিৎসকদের কথাই সত্য হয়, তাহলে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা,করার জন্য, সে ব্যাপারে তাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি রাজি হলে, সেখানে তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।’
আসছে ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক খুলে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। পরে এই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ২৩টি ব্রিজের ওপর দিয়েও গাড়ি চলবে। সেটার উদ্বোধন আমরা এখন করতে পারছি না। জয়েন্ট এক্সপানশন এখনো লাগানো হয়নি। প্লেট দিয়ে আপাতত সেই কাজটা সারা হবে, টেমপোরারিলি। জয়েন্ট এক্সপানসানটা হয়ে যাবে শিগগির। ঈদের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। এই পথে মোট ২৬টি ব্রিজ। তো এখন ২৩টি ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে। এবং পুরো ফোর লেইন যেখানে যেখানে অসুবিধা আছে, আমরা খুলে দিয়েছি। কাজেই ঈদ পর্যন্ত ১২ তারিখ থেকে ফোর লেইন খোলা থাকবে। ঈদের পরেও যারা ফিরতি যাত্রায় সামিল হবে, কর্মস্থানে, তাদের জন্যেও আমরা এই রাস্তা খুলে দিচ্ছি।’
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার জিকরুল হাসান, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ ও গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।