বৃষ্টিতে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার আশঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
এভাবেই প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি : এনটিভি

প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী ভারি বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে জনসচেতনায় মাইকিং। এ ছাড়া জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটায় প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া উপজেলার হারবাং, কৈয়ারবিল, বরইতলী, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও, ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকার গবাদি পশু, পাকা ধান, পানের বরজ, বর্ষাকালীন শাকসবজি ও বিভিন্ন জাতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষ চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ফরমান আলী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন এলাকার জন্য ৩ নম্বর সংকেত বলৎবত রয়েছে। এ কারণে আরো দুই একদিন ভারি বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বেশি হলে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারি কেউ থাকতে পারবে না। তাদের সরে যেতেই হবে। না সরলেও আমরা তাদের বাধ্য করব। এ ছাড়া ভারি বর্ষণে মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে বাঁকখালী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকাগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।’