প্রাইভেটকারে উঠিয়ে ধর্ষণ, সেই রনি কারাগারে

রাজধানীর কলেজগেটে প্রাইভেটকারে তুলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক মাহমুদুল হক ওরফে রনিকে (৩২) রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজ উদ্দিন আসামি রনিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে রনির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন । শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আনিসুর রহমান জানান, গত ১১ জুন আসামি রনিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
নথি থেকে জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে দুই তরুণী কলেজগেট এলাকায় মাহমুদুল হকের গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৯-৫৪১৪) থামিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
ওই সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন মাহমুদুলের ব্যক্তিগত গাড়িচালক। কিছুদূর যাওয়ার পর এক তরুণীকে শিশুমেলা এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা আরেকজনকে ধর্ষণ করেন মাহমুদুল। একপর্যায়ে ঘটনা টের পেয়ে রাস্তায় থাকা লোকজন গাড়ি থামিয়ে চালক ও মাহমুদুলকে মারধর করে। মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় থাকা লোকজন মাহমুদুলের গাড়ি আটক করে। এ সময় চালক ও মাহমুদুলকে মারধর করা হচ্ছিল।
গত ১০ জুন ওই ঘটনায় তরুণী শেরেবাংলা নগর থানায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেন।