প্রতিবাদ করলে এসপি পুলিশ আমি দেখব বলে হুমকি!

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া ফুলবাড়িয়া বাইলেনের একটি বাসা থেকে আজ শনিবার বিকেলে তিনজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সাবেক সাঁট-মুদ্রাক্ষরিকের বাসা থেকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় শহরের আকুয়া ফুলবাড়িয়া বাইলেনের ‘হোসনা কটেজ’ নামের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক তিনজন হলেন বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহীন, মাদক ব্যবসায়ী মামুন ও ফেনসিডিল ক্রেতা লিটন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, হোসনা কটেজের মালিক খন্দকার নাজিম উদ্দিন এক সময় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করতেন। ঠিকাদার পরিচয়ে শাহীন নামের এক ব্যক্তি তাঁর তিনতলা বাসার নিচতলার একটি ইউনিট ভাড়া নেন। বাসা ভাড়া নিয়ে শাহীন মামুনের সঙ্গে মিলে মাদক ব্যবসা শুরু করেন। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে আজ বিকেলে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ শাহীন ও মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে লিটন নামের এক ক্রেতাকেও আটক করা হয়।

এদিকে, হোসনা কটেজের কয়েকজন ভাড়াটিয়া ও এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক মাস ধরে ওই বাসায় মাদকের ব্যবসা করা হচ্ছে। রাতভর মোটরসাইকেলে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আসা যাওয়ায় তারা বিরক্ত ছিলেন। বাড়ির মালিকের বড় ছেলে নিপু খন্দকারকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। নিপু খন্দকার উল্টো ‘এসপি পুলিশ আমি দেখব’ বলে হুমকি দিতেন।

এলাকাবাসী জানায়, আজ গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চালানোর দেড় ঘণ্টা আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে করে এক বস্তা ফেনসিডিল শাহীনের ভাড়া বাসায় ঢোকানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই সব বিক্রি করা হয় বা সরিয়ে ফেলা হয় বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।