গফুর মিলিটারিকে বাঁচাতে গিয়ে ইদ্রিসও খুন হলেন

Looks like you've blocked notifications!

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই ব্যক্তিকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া বাজারে এই হত্যাকাণ্ড হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাঁথিয়া উপজেলার বড়ইবাড়ী গ্রামের মৃত দবির মল্লিকের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুল গফুর ওরফে গফুর মিলিটারি (৫৫) ও গয়েশবাড়ী গ্রামের ময়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৩০)। গফুর আওয়ামী লীগের সমর্থক ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদের পক্ষের লোক। ইদ্রিস আলী তেবাড়িয়া বাজারের একজন দোকানদার।

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা এই হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ওসি মো. মাসুদ রানা জানান, বিকেল পৌনে ৬টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানাধীন তেবাড়িয়া বাজারে গফুর মিলিটারি একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন সশস্র সন্ত্রাসী গফুর মিলিটারির ওপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। গুলি লেগে গফুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় পাশের দোকানদার ইদ্রিস আলী এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ওসি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত চলছে। তেবাড়িয়া বাজার এবং এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছে, গফুর মিলিটারি আগে চরমপন্থী দল পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি-লাল পতাকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের পক্ষে কাজ শুরু করেন।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, গফুর আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী কর্মী। আগে বিপথগামী থাকলেও তিনি ভালো হয়ে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আরেকটি সূত্র জানায়, চরমপন্থী দলের ক্যাডাররা এই জোড়া খুন করতে পারে। কারণ যারা হত্যাকারী তারা গফুরকে কুপিয়ে এবং গুলি করে শতভাগ মৃত্যু নিশ্চিত করে মাঠের মধ্যে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনায় গোটা এলাকা কর্ডন করে রাখা হয়েছে। মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।