চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবিরের ২১০ নেতাকর্মী কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামে পর্যটন করপোরেশনের একটি মোটেল থেকে গতকাল শনিবার রাতে জামায়াত-শিবিরের ২১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামে পর্যটন করপোরেশনের একটি মোটেল থেকে আটক জামায়াত-শিবিরের ২১০ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রেহমান তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রোববার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানায় আটক ২১০ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও আরো ১৩ জনকে মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান, শনিবার রাতে পর্যটন মোটেলে দক্ষিণ জেলা শিবিরের সাংস্কৃতিক সংগঠন পারাবারের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান থেকে ২১০ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে নগর জামায়াতের সহসেক্রেটারি জেনারেল আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও শিবিরে দুজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন। অন্যরা শিবিরের সাথী ও সদস্য বলে জানান ওসি।

জামায়াতের নিন্দা

বিশিষ্ট সাহিত্যিক আ জ ম ওবায়েদুল্লাহসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিবৃতি দিয়েছেন। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পারাবারের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার পর্যটন হোটেল মোটেল সৈকত থেকে নারী, শিশু ও স্কুল ছাত্রসহ দুই শতাধিক নিরীহ ছাত্র ও বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত চাকরিজীবীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে যখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গোটা জাতি ব্যস্ত, সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় নির্বাচনের জন্যে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে সরকার।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীসহ সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।