আবারও ইয়াবাসহ শ্যামলী পরিবহনের চালক ও সহকারী আটক

Looks like you've blocked notifications!

মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে আবারও ইয়াবাসহ আটক হয়েছেন শ্যামলী পরিবহনের এক বাসচালক ও তাঁর সহকারী। এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে সাত হাজার ইয়াবাসহ তাঁদের আটক করা হয়।

র‍্যাব ৩-এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে শ্যামলী পরিবহনে ইয়াবার চালান আসছে এমন খবরে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান নেয় র‍্যাব ৩-এর সদস্যরা। বাসটি যাত্রাবাড়ী এলাকায় এলে র‍্যাব সদস্যরা বাস থামিয়ে তল্লাশি করে। প্রথমে স্বীকার না করলেও র‍্যাব সদস্যদের চ্যালেঞ্জের মুখে চালক ও সহকারী বাসে ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন। পরে সিটের নিচে লুকিয়ে রাখা সাত হাজার ইয়াবা বের করে দেন।

এ ঘটনায় চালক আবদুল হালিম শেখ (৪২) ও তাঁর সহকারী রনি মিয়াকে (১৯) আটক করা হয়েছে এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা র‍্যাবকে জানিয়েছেন, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী এই বাসে তারা প্রায়ই ইয়াবার চালান বহন করে ঢাকায় পৌঁছে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, আটক আবদুল হালিম শেখ অনেক সিনিয়র ড্রাইভার। তিনি শ্যামলী পরিবহনে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চাকরি করেন। তাঁকে সন্দেহ করার মতো কখনো কিছু পাইনি। তবে, র‍্যাব ইয়াবা উদ্ধার করে চালক কিংবা হেলপারের কাছ থেকে। কিন্তু গাড়ি জব্দ করার কারণ কী।

রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, শ্যামলী পরিবহনের চালকদের নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হয়, তারা যেন কোনো অপরাধে না জড়ায়। এখানে অনেকে পাঁচ-দশ বছর ধরে চাকরি করে। সবাই প্রফেশনাল। কিন্তু এর মধ্যে কে কে গোপনে অপরাধে যুক্ত হচ্ছে তা চিহ্নিত করা মুশকিল।

এর আগে গত ৬ জুন সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার একটি পেট্রলপাম্পের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে অভিযান চালিয়ে ৩৩ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‍্যাব- ৭। এ সময় বাসচালক মো. শুক্কুর (৪৪) ও তাঁর সহকারী মো. ফারুককে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করে বাসটি।

এরপর গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর রূপনগর এলাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক জিয়াউর (২৭) ও সহকারী আমিনুল ইসলাম মিলনকে দুই হাজার ৪০১টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব ২-এর সদস্যরা। এ সময়ও বাস জব্দ করা হয়। বাসটি ঢাকা-কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে যাতায়াত করত।