মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ হাজার ৭৬৭ জন

Looks like you've blocked notifications!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পুরোনো ছবি : এনটিভি

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলায় ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময়ে এক হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময়ে তিন কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৬১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ,  বিজিবি ও র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য বর্ডার লিয়াঁজো অফিস স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো ভারতের সাথে পাঁচটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতে অবস্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধিদের কাছে দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী ও ঢেলে সাজানোর জন্য অধিদপ্তরের জনবল এক হাজার ৭০৬ জন থেকে আট হাজার ৫০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।