বান্দরবানে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা

Looks like you've blocked notifications!

পাহাড়ের ভূমি সমস্যা সমাধানে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা হয়েছে। বুধবার দুপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মিলনায়নে কমিশনের এই সভা হয়।

সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক জানান,খুব শিগগিরই তিন জেলায় কমিশনের শাখা অফিসের কার্যক্রম চালু হবে।

বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সভাটি শেষ হয় দুপুর ২টায়। এক বছর পর বান্দরবানে দ্বিতীয়বারের ম মতো অনুষ্ঠিত হয় কমিশনের এই সভা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, রাঙামাটির চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায়, খাগড়াছড়ির মং রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবানের বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষক্ষেত চাকমা, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমেনুর রশীদ আমীন উপস্থিত ছিলেন।

তবে নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

জানা যায়, এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ২২ হাজার ৮৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে বান্দরবান জেলায় ৪ হাজার ৫৬৮টি, রাঙামাটি জেলায় ৯ হাজার ৯৪০টি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ৩৭৩টি।

সভায় ভূমি কমিশনের জনবল সংকট, বিধিমালা প্রণয়ন এবং ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির জন্য জমা পড়া আবেদনপত্রগুলো যাচাই বাছাই নিয়ে ফলপ্রসূ আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক বলেন, ‘কমিশনের বিধিমালা প্রণয়নের কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে। তিন জেলায় কমিশনের তিনটি শাখা অফিসও ঠিক হয়ে গেছে। আপাতত বান্দরবান এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনের দুটি কক্ষে কাজকর্ম দ্রুত শুরু হবে। কমিশনের সদস্যদের কিছুটা সমস্যা থাকায় আপাতত খাগড়াছড়িতে কোনো সভা হচ্ছে না। আগামী সভাটি রাঙ্গামাটি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের ভূমি সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করব। কারণ তারা এখানে ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যগুলোও সমাধানে কাজ করা হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেন, ‘আমরা যতটুকু আশা করি এবং পাহাড়ের মানুষরা যতটুকু আশা করেন,  সে অনুপাতে তো আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছি না। কেন করতে পারছি না, সেটি বলতে গেলে অনেকগুলো বিষয় চলে আসবে। কারণটা সকলেরই জানা। আমার এ মুহূর্তে বলা সম্ভব হবে না। তবে আমি কোনো সভায় অনুপস্থিত ছিলাম না। সবগুলো মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছি, কমিশনের কাজকর্ম এগিয়ে নিতে। মিডিয়ার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’