যুবদল নেতাকে আটক, টাকা নেওয়ার পর অস্বীকার!

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ। পুরোনো ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বলাইগ্রাম থেকে আটক যুবদল নেতা কামরুজ্জামান সোহাগকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাঁর স্বজনরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় গফরগাঁও প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় গফরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ও আহসান হাবিবসহ একদল পুলিশ বাড়িতে গিয়ে গফরগাঁও উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সোহাগকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ নেই।

এ বিষয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সোহাগের স্ত্রী সানজিদা সুলতানা গফরগাঁও থানায় গিয়ে এসআই সাইফুলের সঙ্গে দেখা করেন। এসআই সাইফুল প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সোহাগকে তুলে আনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সোহাগ ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে আছে।’

সোহাগের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে পুলিশ দিনের বেলায় তুলে এনেছে, আমি আমার স্বামীকে জীবিত ফেরত চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে সানজিদার মা মনোয়ারা সুলতানা ও সোহাগের বড় ভাই রিসালত উল্লাহ মিম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাত থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দফায় দফায় ফোন করা হলেও কেউ কিছু বলতে পারেননি। এসআই সাইফুলকে ফোন করা হলে ‘একটু পরে জানাচ্ছি’ বলে ফোন বন্ধ করেন দেন।

সোহাগের স্ত্রী সানজিদা আজ দুপুর দেড়টায় টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে এসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গফরগাঁও থানায় গিয়ে এসআই সাইফুলের সাথে দেখা করি। তিনি প্রথমে সোহাগের বিষয়ে অস্বীকার করলে পরে স্বীকার করে বলেন, সোহাগ ময়মনসিংহ ডিবিতে আছে। সোহাগকে ফেরত দেব, ৫০ হাজার টাকা আনেন।

পরে ২০ হাজার টাকায় রফা হলে সাইফুলকে দুপুরে ১২ হাজার টাকা দেন সানজিদা। পরে এসআই সাইফুল আরো পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি কিছুই জানেন না’, বলছিলেন সানজিদা।

সোহাগ এর আগে ২০১০ সালে এবং গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তাঁর নামে সরকার বিরোধী নাশকতার ছয়টি মামলা রয়েছে। তবে সব মামলায় সোহাগ জামিনে আছেন বলে জানিয়েছেন গফরগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সরদার মো. খুররম।