‘কূটনীতিকদের পরামর্শে বিএনপির হুস ফিরুক’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকরা বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা বলছেন। এটাকে অভিনন্দন জানাই। তাঁদের পরামর্শে বিএনপির হুস ঠিকানায় ফিরুক। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যা করার করুক।’
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
এ সময় নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মওদুদ আহমেদ কল্পনাপ্রসূত কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ কী করে বিএনপির নির্বাচন বানচাল করবে। আমরা তো সবাইকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচন করতে চাই। এটাতো আমরা সন্দেহাতীতভাবেই করে যাচ্ছি। এখন কোনো জিনিস তাঁদের পছন্দ হয় না, এটা তাদের কিভাবে পছন্দ করাব। বিএনপির খায়েশ আমরা একটি রূপার প্লেট কিনব, তাতে ক্ষমতার একটি চিঠি লিখব, তাঁদের হাতে তুলে দেব। এটা অসম্ভবপর খায়েশ।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা তো এক সময় ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। তখন তারা আমাদের সাথে কী আচরণ করেছে, তা আপনারা দেখেছেন। তারপরও আমরা আন্দোলন করেই ক্ষমতায় এসেছি। তাদের আন্দোলন করতে অসুবিধা কোথায়? সংবাদপত্র বা টিভিতে তাদের প্রচারটা বেশি প্রচার করা হয়। তাদের শক্তি সঞ্চার করতে আমার কোনো বাধা দিচ্ছি না। এখন তারা নালিশ পার্টি হলে আমরা কী করব?
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বসার আগে ১০০ এজেন্ট দেওয়া হয়নি। তাদের এজেন্টও কি আওয়ামী লীগ দিয়ে দেবে? এজেন্ট তো তাদেরই দিতে হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, মুখোমুখি অবস্থান হয়, শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকার মতো জায়গায়ও এগুলো হচ্ছে। সেন্টারে এজেন্ট দেবে না, তাদের লোকজন যাবে না। তারপর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার করবে। এত বড় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া যায় না।
এ সময় ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতাসেম হোসেন বাবর, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বি এম তৌফিক।