হলমার্ক কেলেঙ্কারির তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ

Looks like you've blocked notifications!

বহুল আলোচিত দেশের বৃহত্তম হলমার্ক কেলেঙ্কারির তিন মামলায় তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার সাক্ষীরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের জিএম আনিসুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রাক্তন জিএম মোহাম্মদ আলী। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর বিচারক আগামী ১৬ জুলাই দুই মামলায় ও ২২ জুলাই এক মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় তিন হাজার ৬৯৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলায় আসামিরা হলেন হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ।

হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টাপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরির নামও রয়েছে।

প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের দুই জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান (দুজনই ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক ও আতিকুর রহমান (দুজনই ওএসডি), দুই উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদের নামও রয়েছে এতে।

আসামিদের মধ্যে হলমার্কের সাতজন এবং সোনালী ব্যাংকের ২০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।