বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ২ পাইলট নিহত

Looks like you've blocked notifications!

যশোরে বিমানবাহিনীর কে-৮ ডব্লিউ মডেলের একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন উড়োজাহাজটিতে থাকা দুই পাইলট।

নিহত দুজনের পরিচয় জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তাঁরা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার মো. সিরাজুল ইসলাম ও এনায়েত কবির পলাশ।

যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আলমগীর পাঠান জানান, গতকাল রোববার রাত ৮টা ৫১ মিনিটে যশোর বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করে। ৯টা ৪ মিনিটে যশোর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে বিমানটির পাইলটদের সর্বশেষ কথা হয়। এর দুই মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পরই খবর পাওয়া যায় যে বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বিধ্বস্ত হয়ে আরিচপুর গ্রামে বুকভরা বাঁওড়ের পানিতে পড়েছে।

আরিচপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উড়োজাহাজটি প্রথমে আকাশে কিছু সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখেন তাঁরা। এরপরই সেটি প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। আগুন ধরা অবস্থায় বিমানটি বুকভরা বাঁওড়ের মাঝামাঝি এলাকায় পানিতে পড়ে যায়। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। খবর পেয়ে যশোর বিমানবাহিনী, যশোর ক্যান্টনমেন্ট, যশোর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছান। কিন্তু বৃষ্টি ও কাদামাটির রাস্তার কারণে উদ্ধারকর্মীদের সেখানে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। রাত পৌনে ২টার দিকে খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূল উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে নৌবাহিনীর একটি টিমও যোগ দেয়। ভোর ৪টার সময় উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক স্থগিত করা হয়।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৪টা পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানের কিছু অংশ এবং নিহত দুই পাইলটের শরীরের কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।