রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার ও নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায় : গুতেরেস

Looks like you've blocked notifications!
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী আজ সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ছবি : স্টার মেইল

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে আজ সোমবার গুতেরেস তাঁর টুইটার বার্তায় এ কথা বলেছেন।

গুতেরেস বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছে সেখানে হত্যা ও ধর্ষণের যে সংখ্যার কথা শুনেছি তা অকল্পনীয়। তারা এখন ন্যায়বিচার এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়।’

আজ সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার আগে জাতিসংঘের মহাসচিব তাঁর অপর এক টুইট বার্তায় বলেন, রোহিঙ্গারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বঞ্চিত ও নিগৃহীত একটি জনগোষ্ঠী। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি মানবিক ও মানবাধিকারে ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্নের সংকট। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে ঔদার্য প্রদর্শনের জন্য আমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা নাজুক হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে জাতিসংঘের মহাসচিব ওই সময় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ বাংলাদেশে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গাদের মনে যে প্রত্যাশা দেখেছি তা বর্ষার পানিতে ধুয়ে যেতে দিতে পারি না।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব  বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমকে সঙ্গে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সকাল পৌনে ৯টায় কক্সবাজার পৌঁছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও সফররত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।

গত বছর আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ওই দেশের সেনা অভিযানের পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধন’ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।