সাংবাদিকের ওপর হামলা, আট ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!

জয়পুরহাটে বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভি ও দৈনিক করতোয়ার জেলা প্রতিনিধি মোস্তাকিম ফাররোখের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের আট নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকারিয়া হোসেন রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাময়িক বহিষ্কৃত নেতারা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন সাগর, জয়পুরহাট সরকারি কলেজের জুবিলী হল শাখার আহ্বায়ক মো. আবু তাহের, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রাকিব, সদস্য মো. মুমিনুল ইসলাম, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখার সদস্য মিলন হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু ও জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অপু।

এঁর মধ্যে মিলন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও অপুর সদস্য পদ স্থগিত এবং তাদের দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দিয়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে তিন মাস সদস্য পদ স্থগিত করাসহ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকারিয়া হোসেন রাজা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক রেজার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশ টিভি ও  দৈনিক করতোয়ার জয়পুরহাট প্রতিনিধি মোস্তাকিম ফাররোখকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ভাবমর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় জেলা কমিটি সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭ ধারার (খ)-এর আলোকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৩ জুলাই বুধবার রাত ৮টার দিকে সাংবাদিক মোস্তাকিম ফাররোখ পেশাগত কারণে ক্যামেরা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় তিনি দেখেন তাঁর বাড়ির সামনে মো. সাহাদাত হোসেন সাগর, মো. আবু তাহেরসহ ১০-১২জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নিজেদের মধ্যে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় চিৎকার করছেন। তিনি তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান।

সাংবাদিক মোস্তাকিম ফাররোখ তখন তাঁদের ছবি তুলতে গেলে তাঁরা তাঁর ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাঁকে অপহরণ করে নতুন হাটের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। সে সময় সময় তাঁর চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এগিয়ে এলে ওই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।

ঘটনার পরের  দিন এসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।