জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট

খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির শুনানি রোববার

Looks like you've blocked notifications!

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

গতকাল বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা।

গত ১২ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগেও একপর্যায়ে বহাল থাকে। কিন্তু অন্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনো কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

এদিকে, হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিনের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় জিয়া অরফানেজ মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে সেখানেই আছেন।

একনজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।

এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ হতে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।

খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।

খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।

গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।

রায় ঘোষণা করা গত ৮ ফেব্রুয়ারি।