আশাশুনিতে বাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত

Looks like you've blocked notifications!

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদীর পানিতে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে নড়বড়ে বাঁধের আড়াই শ ফুট এলাকা ধসে গেছে। এতে আনুলিয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রাম বিছোট ও নয়াখালি প্লাবিত হয়। গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
  
আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধটির বেশ বড় একটা অংশ ধসে যায়।  ওই রাতেই মাইকিং করে গ্রামবাসীকে বাঁধ ভাঙা ঠেকানোর কাজে নামানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,  মজবুত ও স্থায়ীভাবে বাঁধ দিতে না পারলে  সংলগ্ন আনুলিয়া, খাজরা ও বড়দল এ তিন ইউনিয়নের ৭০টিরও বেশি গ্রাম খোলপেটুয়া নদী আর সাগরের পানিতে একাকার হয়ে যেতে পারে। এতে মাছের ঘের, ফসলি জমি, বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট,  হাটবাজার ও  গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘটনার পর পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চেয়ারম্যান লিটন জানান, স্বেচ্ছাশ্রম ছাড়াও গ্রামের মানুষ দিন মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন।  নিজ উদ্যোগে মাটি, বাঁশ ও অন্যান্য  সরঞ্জামও গ্রামবাসী এগিয়ে দিচ্ছেন। তবে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের এক এলাকা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই অন্য এলাকা আবারও ভাঙছে।  ভাটার সময় বাঁধ ঠিক করতে না পারলে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি গতকাল রাতেই বাঁধ ভাঙনের খবর পেয়েছেন। ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একুশের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি।  কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে যাব।’ 

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ( বিভাগ ২ ) এসও ( সেকশনাল অফিসার ) আবদুল মতিন জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ভাঙন ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনিও ঘটনাস্থলে যাননি বলে জানান।