মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে

Looks like you've blocked notifications!
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকিত সোহেলকে সড়কে ফেলে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে শহরের হাসপাতাল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকিত সোহেলকে বেধরক পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে তারা। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাড়ির সামনে ঝোলানো বেশ কয়েকটি দলীয় ফেস্টুন ভাঙচুর করে তারা।

আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের হাসপাতাল ও গোডাউন রোড এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শহরের পুরাতন আদালত সড়ক থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি হাসপাতাল সড়কে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। পরে ছাত্রদল নেতা মুকিতকে ধরে মারধর করে পুলিশে দেয় তারা। এ সময় হামলায় পৌর ছাত্রদলের সদস্য মো. নাঈম আহত হন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এ্যানি চৌধুরীর গোডাউন রোডের বাড়ির সামনে ঝোলানো বেশ কয়েকটি ফেস্টুন ভাঙচুর করে। তখন এ্যানি চৌধুরী বাসায় ছিলেন না।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকিত সোহেলকে সড়কে ফেলে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তাঁকে কিল, ঘুষি, লাথিও মারতে দেখা যায়। এরপর তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে তারা।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নামে ছাত্রদল-শিবির বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। আমরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।’

সদর থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে এ্যানি চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েছি। সেখানে কয়েকটি ফেস্টুন পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।’

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ‘বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে ছাত্রদলের নেতা আবদুল মুকিত সোহেলকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।’