‘খালেদা জিয়ার রিভিউর সময় পুনর্বিবেচনা করবেন আদালত’

Looks like you've blocked notifications!

আগামী ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার রিভিউ আবেদন স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আপিল বিভাগ।

তবে ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি না হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল শুনানির সময় বৃদ্ধির আবেদন জানানোর সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত আদেশে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু করতে বলেছেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল শুনানি শেষ করা সম্ভব না হলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আদালত আজকে একটি আদেশ দিয়ে বলেছেন, আপনারা শুরু করেন। ৩১ জুলাইর মধ্যে যদি সমাপ্ত না হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়টি আদালত পুনর্বিবেচনা করবে। আদালত এ আদেশ দিয়ে রিভিউ আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেছেন।’

আইনজীবী আরো বলেন, ‘এ আদেশের ফলে বিষয়টি এখন ওপেন হলো। আগে যেমন ৩১ জুলাইর মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল, এখন সেটি আর থাকল না।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আমরাও চাই এ মামলা শেষ করতে। প্রপারলি শেষ করতে চাই। কিন্তু এ মামলায় যে পরিমাণ ডকুমেন্টস রয়েছে, তা শেষ করতে সময় লাগবে। এর আগে গত ৯ জুলাই এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।’

গত ২৭ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল ৩১ জুলাইর মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়।

গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া তাঁর সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে আপিল দায়ের করেছিলেন, তা ৩১ জুলাইর মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারেই আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।