আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের ‘বিরল’ সাফল্য

Looks like you've blocked notifications!

শৃঙ্খলা ও নিবিড় পরিচর্যার কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮০৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৭১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। শতভাগ পাস, জিপিএর ভিত্তিতে ছাড়াও শীর্ষ ২০ কলেজগুলোর মধ্যে এ ফল দেশসেরা বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কলেজটি থেকে ৮০৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৭১ জন। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯১ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৪২ জন ও মানবিক শাখা থেকে ৩৮ শিক্ষার্থী রয়েছে।

২০০৬ সালে থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা নরসিংদীতে তাঁর নিজের নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেরা কলেজ হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেয় কলেজটি। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি ২০০৮ সালেই পাসের হার ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে শতভাগ ও ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম, ২০১০ সালে শতভাগ পাসসহ জেলার শ্রেষ্ঠ, ২০১১ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে সপ্তম এবং ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডের সেরা বিশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

ঢাকার অনেক কলেজকে পেছনে ফেলে মফস্বল শহরের এই কলেজটির ধারাবাহিক সাফল্যে নরসিংদীকে নতুন রূপে পরিচয় করে দিয়েছে দেশবাসীর কাছে। ধারাবাহিক সাফল্যেরই শিক্ষাঙ্গনটিকে দেখা হচ্ছে সাফল্যের অনুকরণীয় হিসেবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফল ঘোষণার পর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। ফল ঘোষিত হওয়ার পর ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। নিজের ও বন্ধুদের সাফল্যকে নেচে-গেয়ে উদযাপন করে সকলে। তাদের এই আনন্দযজ্ঞে যোগ দেন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা।

সাফল্য অনেকটা নিয়মেই পরিণত হয়েছে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের। সাফল্যের নেতৃত্ব দেওয়া কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা বলেন, এই নিয়ে টানা ১০ বার কলেজটি শতভাগ পাসের সাফল্য অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশে বিরল। এই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবেন ও কাজ করেন। আর ভালো ফল অর্জনের জন্য শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

মফস্বল শহরে প্রতিষ্ঠিত কলেজের গৌরবময় অর্জন ভবিষ্যতে ধরে রাখবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের।