চট্টগ্রাম-কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম : জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, গতকাল রাত দেড়টার দিকে নগরীর মতিঝর্ণা এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাসে করে গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তারা র‍্যাব-৭-এর টহল দলের সামনে পড়ে । সে সময় মাইক্রোবাস আরোহীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় দুজন। পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করে র‍্যাব।

মো. জালাল উদ্দিন, কুমিল্লা : কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম খোরশেদ আলম ওরফে কানা খোরশেদ (৪৮)। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর সরকারি কলেজের উল্টোদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ জেলার দেবীদ্বার উপজেলার গঙ্গামণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা।

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় মাদকের চালান যাচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  দাউদকান্দি থানা পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের উল্টো দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয় এবং যানবাহনে তল্লাশি চালায়।

ওসি আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকারসহ আটক করার সময় তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার ও ৮০ কেজি গাঁজা এবং দুটি কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।

নিহত খোরশেদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।