ট্রলারডুবির ঘটনায় সাত লাশ উদ্ধার, মামলা
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোস্টগার্ডের কুতুবদিয়া স্টেশন কমান্ডার তারেক মোস্তফা লাশগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
উদ্ধার হওয়া সাত মৃতদেহের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আবদুর রাজ্জাক এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাহাবুব রানা। অপর পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংসা থোয়াই জানান, মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আত্মীয়স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কোস্টগার্ড জানায়, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে আজ সকাল থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কয়েকটি দল। দুপুর ১টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের পাটাতনের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুতুবদিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার তারেক মোস্তফা জানান, কোস্টগার্ডের উদ্ধার যান তানভীর ও তৌহিদ এবং নৌবাহিনীর উদ্ধার যান অতন্দ্র ও অপরাজেয় জাহাজসহ কোস্টগার্ডের আরো দুটি ছোট ট্রলার উদ্ধার অভিযান চালায়। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেদের ট্রলারগুলো উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংসা থোয়াই জানান, উদ্ধার হওয়া ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা হলেন কক্সবাজারের ওবায়দুল হক (৩৫), তৈয়ব আলম (৩২), মো. রাসেল (৩০), ইয়াছিন হোসেন (১৭), মো. ইসমাঈল হোসেন (৩৬) ও নূর মোহাম্মদ (৫০)। ওই ছয়জনসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচ দালালকে আসামি করে আজ বেলা ১১টার দিকে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক ছয়জনকে কুতুবদিয়া বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলের খুদিয়ারটের পয়েন্টে মালয়েশিয়াগামী এফভি ইদ্রিস নামের একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটি গত বুধবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে রওনা হয়েছিল। ট্রলারডুবির ঘটনায় আরো ১০ থেকে ১৫ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।