রাজশাহীতে ককটেল বিস্ফোরণ

বিএনপি নেতা মন্টু ৫ দিনের রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী পথসভায় ককটেল হামলা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে রাজশাহী মহানগর হাকিম  আদালত-৩ এর বিচারক জাহিদুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, ‘গত রোববার মন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের শুনানি হয়। এ সময় মন্টুর আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদনের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত  ১৭ জুলাই সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে এলাকায় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। চারটি মোটরসাইকেল মুখে রুমাল বাধা আট যুবক এসে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের নামে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২১ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মন্টুকে তাঁর বাসা গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাজশাহী জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলামের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়।

পরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গণসংযোগ কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম মতিউর রহমান মন্টুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন। মন্টু এ কথা নিজেই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনালাপে আলাপ করেছেন বলে একটি অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়ে পুলিশ কমিশনার জানান। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং ভোটারদের সহমর্মিতা পাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নির্বাচনী ওই গণসংযোগে নিজেরাই বোমা হামলা চালিয়েছে।’