‘রাসিক নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি’

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহীতে গণসংযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর সঙ্গে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাঙ্গাহীর আলম। ছবি : এনটিভি

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘রাজশাহীতে বোমা হামলার একটি ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আর বোমা হামলার ঘটনাটি বিএনপি নিজেরাই করেছে, এটির প্রমাণ ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেয়েছে।’

লিটন আরো বলেন, ‘রাজশাহীতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের প্রয়োজন আছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে, সেটি তাদের এখতিয়ার। আমাদের বলার কিছু নাই।’

আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। লিটন বলেন, ‘সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি অপচেষ্টায় লিপ্ত। এটি ইতোমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীকের প্রচার মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সোনাদীঘি মোড়ের মনিচত্বর গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাঙ্গাহীর আলম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এরপর নগরীর শ্রীরামপুর, সুইপার কলোনী, চন্ডীপুর ও ঘোষপাড়া, সিএন্ডবি মোড়সহ আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন।

শ্রীরামপুর এলাকায় পথসভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি নাকি নদীর ধারের বস্তি উচ্ছেদ করে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবো। এটি বিএনপির মিথ্যাচার ও অপপ্রচার। কোনো অপপ্রচারের কান দিবেন না। কারণ আমি অতীতে কোনো বস্তি উচ্ছেদ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। বরং আপনাদের উন্নয়নে যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।’

চন্ডীপুর প্রেসক্লাবের মোড়ে পথসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘যে মেয়র ঈদের আগে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ান, তিনি নগরীর ৮ লাখ মানুষের কল্যান করবেন কীভাবে? যারা পারে নয় দিনেই পারে, আর যারা পারে না নব্বই বছরেও পারে না। বিএনপির অযোগ্য মেয়রের কারণে গত ৫ বছর রাজশাহী পিছিয়ে গেছে। আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাই না। আসুন আমরা সবাই মিলে নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নে শামিল হই।