হামলার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা : জাফর ইকবাল

Looks like you've blocked notifications!

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরাই হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম হরিদাস কুমারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। এর পর সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাফর ইকবাল এ কথা বলেন।

লেখক জাফর ইকবাল বলেন, ‘স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলায় আমাকে নাস্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরাই স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা লোকদের কিছু বলতে না পেরে ওই পক্ষ বেছে নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর বিপক্ষে কথা বলেছি। আর তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছি বলে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এ দুটি এক কথা নয়।’

মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘হামলাকারী ফয়জুলকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু যারা তাকে এ কাজটি করতে প্ররোচিত করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।’ পুলিশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মামলায় অনেক সময় বিলম্ব হতে দেখা যায়। কিন্তু এ বিষয়ে তারা তাড়াতাড়িই অভিযোগপত্র দিয়ে দিয়েছেন।’

অভিযোগপত্রে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ফয়জুল হাসান ছাড়া অন্যরা হলেন তার বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।

সকালে আদালত প্রাঙ্গণে সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, ৩৫৩ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উসকানিমূলক বই, হুজুরদের ওয়াজ শুনে ফয়জুলের ধারণা হয় জাফর ইকবাল ‘নাস্তিক’। এ ধারণা থেকে ফয়জুল একাই জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। একাই তিনি লেখককে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে এ মামলার সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা পায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৩ মার্চ বিকেলে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালান মাদ্রাসা ছাত্র ফয়জুল হাসান।  এ ঘটনায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।