জজ আদালতে গেল হলি আর্টিজানের নথি

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলাটির নথি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতের পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের গুলশান সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে এ মামলার নথিটি পাঠানো হয়।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা( জিআরও) রাকিবুল ইসলাম এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরাস্তাদার মোহাম্মদ রাশেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, এখনো হলি আর্টিজান মামলার নথি আমরা পাইনি। মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসার পর অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য একটি তারিখ নির্ধারিত থাকবে। তারপর সে অভিযোগপত্র বিচারক আমলে নিলে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের জন্য পাঠানো হবে। সে আদালতেই মামলাটির বিচারকাজ নিষ্পত্তি হবে।

এদিকে গত ২৩ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আট জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আটজন আসামি বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হলি আর্টিজানে অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জীবিত আটজনের মধ্যে ছয়জন কারাগারে ও বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন।

অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গি হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এ ছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।

এ ছাড়া পলাতক দুই আসামি হলেন- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।

সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র ‘আমাক’ হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স।’

এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, এ মামলায় কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক রাকিবুল হাসান রিগ্যানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।