বঙ্গবন্ধুর নাম মহাকাশে, কেউ মুছতে পারবে না : জয়

Looks like you've blocked notifications!
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি : এনটিভি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম এখন মহাকাশে চলে গেছে, আর কেউ চাইলেও তা মুছতে পারবে না।

’৭৫-এর পর দেশের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের কথা স্মরণ করে জয় বলেন, ‘ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রও হয়েছিল। কিন্তু এখন বঙ্গবন্ধুর নামে মহাকাশে স্যাটেলাইটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাইলেও আর কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন এবং ঢাকার গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত সজীব ওয়াজেদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র নামে দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জয় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন দুটির উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর জন্য গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে কাজ করবে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জ, দ্বীপ ও নদী বা সমুদ্রের মধ্যে থেকে সারা বিশ্ব দেখবে। এটাই ছিল আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছি।’

জয় বলেন, ‘স্যাটেলাইট তৈরি করতে বাজেটের চেয়েও কম ব্যয় হয়েছে। এখন আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা স্যাটেলাইটের ওপর লেখাপড়া করে এক্সপার্ট হতে পারবে। তারা এটার ওপর ডিগ্রিও নেবে।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তৃতা করেন।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।