কঠোর অবস্থানে যাবে না পুলিশ : মনিরুল

Looks like you've blocked notifications!
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়ার সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

কোনো পুলিশ সদস্য শিক্ষার্থীদের ওপর বলপ্রয়োগ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার পরও রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এর পরও সড়ক থেকে সরাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর অবস্থানে যাবে না পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়ার সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল এসব কথা বলেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন ও উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে, তা যৌক্তিক ও যুগোপযোগী। শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সড়ক নিরাপত্তায় আমাদের কী করা উচিত।

‘আজ পঞ্চম দিনেও পুলিশ ছাত্রদের ওপর লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস কিংবা গ্রেপ্তার- কোনো ধরনের অ্যাকশনে যায়নি। পুলিশ চেষ্টা করছে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে, বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে।’

সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ মুহূর্তে সব দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু যেগুলো দ্রুত করা সম্ভব, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

সিটিটিসিপ্রধান আরো বলেন, বেপরোয়া, ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি সড়কে নামবে না বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি- উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে আসা প্রভাবশালীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আমরা তাদের এ কাজের সঙ্গে একমত।

এ ছাড়া গণপরিবহনের আইন, অবৈধ রাস্তা পারাপার, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার ও নাগরিক নিরাপত্তাসহ শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন সংস্কার করা হচ্ছে বলে বললেন ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার।

মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুর ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। এতে হজযাত্রী, বিদেশগামী ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায় ভয়াবহ বিপাকে পড়তে হয়েছে।

গাড়ি ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে তারা ৩০০ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আটটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে পুলিশেরও পাঁচটি গাড়ি রয়েছে।

লাইসেন্স না থাকায় পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়ার ব্যাপারে মনিরুল বলেন, প্রত্যেক গাড়িচালক পুলিশের লাইসেন্স আছে। এটি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি।

মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০০৩ ও ২০১২ সালে দুই পুলিশ সদস্য দুটি শিশুর সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেছিল। চলমান বিক্ষোভের সময় তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উসকানি দিচ্ছে একটি মহল। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চান তিনি।

এদিকে, দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলার তদন্ত ডিবি করছে বলে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম কোনো রকম উসকানিতে কান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।