সিরাজগঞ্জে মালিক-শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট

Looks like you've blocked notifications!

যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে মালিক-শ্রমিকরা সংগঠন। আজ শুক্রবার সকালে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘আমাদের যানবাহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কেউ রাস্তায় গাড়ি বের করবে না।’

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী জানান, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের নামে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ১৫টি ট্রাক, পাঁচটি বাস, তিনটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এতে শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন চালানো থেকে বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিচারসহ নয় দফা দাবিতে  বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে দুপুর ২টার দিকে শহরের বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার থেকে ঢাকা রুট অবরোধ করে পাল্টা বিক্ষোভ শ্রমিকরা।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এর পর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।