পিনাক-৬ ট্রাজেডি : চার বছরেও ২১ জনের পরিচয় মেলেনি

Looks like you've blocked notifications!
যাত্রীবাহী লঞ্চ পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির চার বছর আজ, ৪ আগস্ট। ছবি : এনটিভি

যাত্রীবাহী লঞ্চ পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির চার বছর আজ। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৪৯ জনের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও ২১ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এই ২১ জনের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল না আসায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৬৪ জনের পরিবার এখনো অপেক্ষায় আছে।

দিনটি ছিল ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট। ঈদের আনন্দ কাটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরছিলেন যাত্রীরা। সেদিন সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

এমন বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মা ছিল উত্তাল। এরই মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চগুলো উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিল। এদের একটি ছিল পিনাক-৬। সেদিন পদ্মা নদীর মাঝে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি।

চার বছর হয়ে গেলেও এখনো সন্ধান মেলেনি পিনাক-৬ লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৬৪ জনের। সরকারি হিসেবে উদ্ধার হওয়া ২৮ মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে। আর বেওয়ারিশ হিসেবে ২১ জনকে দাফন করা হয় শিবচর পৌর কবরস্থানে।

এই চার বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্বজনহারা পরিবারগুলো। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অজ্ঞাতদের পরিচয় নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে জানাতে পারেনি প্রশাসন।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন সম্পর্কে থানাকে কিছুই অবগত করা হয়নি।

ওসি আরো জানান, ঘটনার পরপর লৌহজং থানায় দায়ের করা মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান আসামি লঞ্চটির মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কালুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২৮০, ২৮২ ও ৩০৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৯ নবেম্বর আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সব আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছে।