শাহবাগে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশন

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর শাহবাগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। ছবিটি আজ ৪ আগস্ট-২০১৮, শনিবার তোলা। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর শাহবাগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন। পরে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানিয়ে অভিবাদন (স্যালুট) জানায়।

আজ শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের এ অবস্থায় দেখা যায়। জাতীয় সংগীত শেষ হলে তারা আবার গোল হয়ে বসে পড়ে।

শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়েছে ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দাঁড়িয়ে 'রক্ত লাগলে রক্ত নাও, নিরাপদ সড়ক চাই'সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছে। ধীরে ধীরে আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে জড়ো হচ্ছে।

সকাল ১১টার দিকে শাহবাগ, ফার্মগেট, পান্থপথ, সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর, মতিঝিল, শনির আখড়া প্রভৃতি এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। তারা সব যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি করে।

ফার্মগেট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, আইডিয়াল কমার্স কলেজ ও তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তারা যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি করছে। কোনো অনিয়ম পেলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশের কাছে মামলা করার জন্য। তারা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত বলে জানান তিনি।

এরই মধ্যে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা বলেছেন, নিরাপদ বোধ না করা পর্যন্ত তারা রাস্তায় বাস নামাবেন না। ফলে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। গতকাল থেকেই আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।