১০০ টাকা কোচিং ফিয়ের জন্য ছাত্রকে পিটুনি
নীলফামারীতে কোচিং ক্লাসের ফি বাবদ বকেয়া ১০০ টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র পরিবারের এক ছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন শিক্ষক। গত বুধবার জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
দোষী শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থীর বাবা গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম আশরাফুল ইসলাম। সে বেলপুকুর ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার জন্য কোচিং ক্লাস করানো হচ্ছে। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে বিদ্যালয়ের মাসিক বেতনের পাশাপাশি আরো ৩০০ টাকা মাসিক অতিরিক্ত কোচিং ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম ওই কোচিং ফি বাবদ ২০০ টাকা পরিশোধ করেছে। তারা দরিদ্র হওয়ায় বাকি ১০০ টাকা দিতে দেরি হচ্ছিল। গত বুধবার আশরাফুল যথারীতি কোচিং ক্লাস করছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক খলিলুর রহমান কোচিং ক্লাস নিতে এসে আশরাফুলের কাছে কোচিং ফিয়ের অবশিষ্ট ১০০ টাকা দাবি করেন। আশরাফুল পরিবারের সমস্যার কথা জানিয়ে ওই টাকা কয়েকদিন পরে দিতে পারবে বলে জানায়। এ কথা শুনে শিক্ষক খলিলুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে আশরাফুলকে বেত দিয়ে বেদম মারপিট করেন। এতে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আশরাফুল বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরদিন তার বাবা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। টাকার জন্য শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার পর থেকে ওই বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
টাকার জন্য শিক্ষার্থীকে মারধরের ব্যাপারে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন ওই শিক্ষক একটু বেশি শাসন করে ফেলেছেন। এটি তেমন কিছুই না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুরের ইউএনও আবু ছালেহ মোহাম্মদ মুসা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছেন।