৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের ছানি অস্ত্রোপচারের উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সাইটসেভার্স আজ রোববার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক প্রকল্প চালু করে। ছবি : সংগৃহীত

প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিবারণের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাস ও টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখার লক্ষ্যে মানুষের দোরগড়ায় চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে একটি প্রকল্প চালু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সাইটসেভার্স আজ রোববার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘স্বাস্থ্য অধিকার : দক্ষিণ এশিয়ায় চক্ষু স্বাস্থ্যসেবার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প উদ্বোধন করে। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা আজ আর উন্নয়নের কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু মোহাম্মদ ইউসুফ, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) উপদেষ্টা সেলিমা আহমেদ, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ ও সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ত্রিশোর্ধ জনসংখ্যার মধ্যে আনুমানিক আট লাখ ৪৮ হাজারই অন্ধ, যাদের বেশিরভাগের (৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ) অন্ধত্বের কারণ ছানি। তাঁরা বলেন, দেশে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের দৃষ্টিত্রুটি দূর করা এবং প্রায় দেড় লাখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের পুনর্বাসন দরকার।

তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ হাজার ১৩৬ জনের চোখের ছানি অপারেশন করা হবে, তিন লাখ ১৪ হাজার ৫১০ জনের দৃষ্টিত্রুটি পরীক্ষা করা হবে, সাত লাখ পাঁচ হাজার ৩৫০ জনকে নন-সার্জিক্যাল চক্ষুচিকিৎসা দেওয়া হবে, এক হাজার ৮০০ সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীকে চক্ষুরোগ শনাক্তকরণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং চক্ষুরোগের চিকিৎসা বিষয়ক এক হাজার ৬২১টি আউটরিচ কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। 

ডিএফআইডি সহায়তাপুষ্ট এ প্রকল্প প্রাথমিকভাবে কুড়িগ্রাম, নরসিংদি, রংপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিচালিত হবে। চলবে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত।