‘কয়লা খনির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে’

Looks like you've blocked notifications!

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কয়লা খনির যে তদন্ত সেটি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’ তিনি জানান, দ্রুতই এর  প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে দুদক।

আজ সোমবার সকালে দুদক কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও উত্তম চর্চার বিকাশে এফএম বেতারের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কয়লাখনির যে তদন্ত সেটি প্রায় শেষ পর্যায়ে, আপনারা সহসাই এটার একটা তদন্ত ফলাফল, যেটা আইনি ভাষায় বলা হয় ফাইনাল রিপোর্ট অথবা চার্জশিট (সেটা) আমরা আদালতে সাবমিট করব।’

দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটার একটা সমাধান হবে আশা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দিস ইজ আ ভেরি সিম্পল কেস’। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলমান থাকায় খনি দুর্নীতির সাথে কারা সংশ্লিষ্ট তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্র জানায়, খনির ইয়ার্ডে প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা থাকার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র পাঁচ-ছয় হাজার টন কয়লা পাওয়া যায়। অর্থাৎ এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার হদিস নেই। কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বিষয়টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পেট্রোবাংলাকে জানায়। তখনই কয়লা উধাও হওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে। কয়লা সংকটের কারণে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।

কয়লা গায়েবের ঘটনায় এরই মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খানকে।  পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।