সোনার চেইন নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে ‘ছিনতাইকারীর’ মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ছিনতাই করা মালামালের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বাপ্পী (১৯) নামের এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ভৈরব রেলওয়ে সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই চক্রের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার ও হামলায় আহত হয় চার শিক্ষার্থী।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বাপ্পী ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার মোবারক মিয়ার ছেলে। তিনি এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যাসহ একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাত ও কিল-ঘুষিতে আহত হয়েছেন আরিফুর রহমান (২০), তাঁর ছোট বোন আফরিন বেগম (১৬), প্রতিবেশী তানজিনা (১৫) ও সাগর (২০)। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আফরিন ও তানজিনা ভৈরবের জামালপুর টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর সাগর ভৈরব হাজী আসমত কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ছিনতাইয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা জানায়, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান, তাঁর ছোট বোন আফরিন, প্রতিবেশী গোলাপ মিয়ার মেয়ে তানজিলা এবং জ্ঞাতি ভাই ছনছাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সাগর (২০) ভৈরবের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বেড়াতে যায়। বেড়ানোর একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে তারা রেলওয়ে সেতু এলাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাদের ছুরিকাঘাত ও মারধর করে সঙ্গে থাকা তিনটি দামি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট, একটি সোনার চেইন ও এক হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পর ছিনতাই করা সোনার চেইন ও দামি মোবাইল কে নিবে- এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় বাপ্পী চেইনটি জোর করে নিতে চাইলে অপর ছিনতাইকারীরা তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীদের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বাপ্পীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, নিহত বাপ্পী এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।