আওয়ামী লীগের উদ্বৃত্ত আয় সাড়ে ছয় কোটি টাকা
নিজেদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
পরে আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০১৭ সালে আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে। দলটির আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত আয় হয়েছে ছয় কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা।
বেশি আয়ের উৎসের হিসাব জানাতে গিয়ে গোলাপ বলেন, ‘আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, দলের সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বোনাস-বেতন, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।’
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল চার কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি এক লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত্ত আয় হয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা।
এর আগের বছর ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করেছিল সাত কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল তিন কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।
এদিকে, গত জুলাই মাসে বিএনপিও তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল ইসিতে। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে জানানো হয়, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয়েছে নয় কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে চার কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। অর্থাৎ তাদের উদ্বৃত্ত আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের অথবা লেনদেন-সংক্রান্ত হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিলও করতে পারে।