নির্বাচনের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই : ইসি সচিব

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি : এনটিভি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, 'ইতিমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের শতকরা ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কমিশন যে নির্দেশনা দেবে তা বাস্তবায়ন করব। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি হিসেবে যা যা করা দরকার তার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাদা একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সামনে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেগুলোর চেকলিস্ট তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই হিসেবে ৩০ তারিখ থেকে আমাদের কাউন্টডাউন শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সব প্রস্তুতি আছে। তবে নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘চেকলিস্টে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত কি না, ভোটকেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কি না, আরো ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্তির প্রয়োজন আছে কি না, ব্যালট পেপারের জন্য কাগজ কেনা, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দসহ নির্বাচনের জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়গুলো থাকবে। পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও আছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি কতটুকু। নির্বাচনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবার অবহিতকরণসহ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ভোটার তালিকার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমাদের ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র আছে, আরো পাঁচ হাজার কেন্দ্র বাড়তে পারে। এগুলোর খসড়া তালিকা জেলা-উপজেলায় প্রকাশ করা হয়েছে। যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের যদি কোনো আপত্তি থাকে সে বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে, সেগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে তারা নিষ্পত্তি করে আমাদের কাছে গেজেট নোটিশ পাঠাবে। এ ছাড়া নির্বাচন সামগ্রী ক্রয়ের যে বিষয়টি রয়েছে ইতিমধ্যে যারা টেন্ডার আহ্বান করেছে তাদের আমরা কার্যাদেশ প্রদান করেছি। তারা সহসাই আমাদের মালামালগুলো সরবরাহ করবে।’

সচিব জানান, আগামী ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেম্বোসা (ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়া) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, প্রতিবছর সার্ক দেশগুলোর প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে ফেম্বোসা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। হোটেল রেডিসনে স্পিকার শিরিন শারমিন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আটটি দেশের নির্বাচন নিয়ে ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন।

তফসিল ঘোষণার আগে এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘আয়োজক দেশ হিসেবে আমরা এ সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু সার্কভুক্ত দেশগুলো এখানে অংশ নেবে ফলে আমরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো গ্রহণ করতে পারি। কোন দেশে কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে, নির্বাচনের পদ্ধতিগুলো কী, জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে কীভাবে নির্বাচন করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হবে।’