‘পুলিশই নাই, মওদুদ আহমদকে অবরুদ্ধ রাখল কিভাবে’

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : এনটিভি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নোয়াখালীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এসব সাজানো নাটক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, মওদুদ আহমদ সব সময় ঈদের পরে নোয়াখালী যেতেন। কিন্তু এবার পাঁচ-সাতদিন আগেই নোয়াখালী গেছেন। তাঁকে অবরুদ্ধ রাখা হয়নি।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মওদুদ আহমদকে কোনোভাবেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। নোয়াখালী গিয়ে তিনি আবার তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, মর্মে নাটক সাজিয়েছেন। এবং বলছেন, যে পুলিশ তাঁকে নাকি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে তাঁর বাড়ির আশেপাশে কিন্তু কোনো পুলিশ নাই। পুলিশ যেখানে নাই, সেখানে পুলিশ কিভাবে অবরুদ্ধ করে রাখল? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেখানে কোনো পুলিশ নাই। তিনি বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একদিকে, অন্যদিকে, দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য এ ধরনের নাটক সাজাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁকে কোনোভাবেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। এটা মনগড়া অভিযাগ এবং এটা সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।’

আওয়ামী লীগই এক-এগারোর পথ প্রশস্ত করেছিল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কর্মকাণ্ডেই নাকি এক-এগারোর পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এই কথা বলার মাধ্যমে রিজভী আহমেদ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁরা এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি যখন বলেন যে, ওদের কর্মকাণ্ডে এক-এগারোর পথ প্রশস্ত হচ্ছে, তাঁরা যে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন, সেটি তিনি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন। এই ধরনের ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্র কোথায় হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে সেগুলো আমরা মোটামুটিভাবে সরকারের কাছে সমস্ত খবরই আছে। এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’

এ সময় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হাসান মাহামুদ হাসনী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।