রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামিনে মুক্ত
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী পথসভায় ককটেল হামলা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম মতিউর রহমান মন্টু। আজ রোববার রাত ৮টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মন্টু। উচ্চ আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র আজ রোববার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌছালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত ১৭ জুলাই বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোড় এলাকায় রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। চারটি মোটরসাইকেলে করে মুখে রুমাল বাঁধা আট যুবক এসে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের নামে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর ২১ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মন্টুকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাজশাহী জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলামের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের দাবি করে পুলিশ।
পরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গণসংযোগ কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম মতিউর রহমান মন্টুর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন। মন্টু এ কথা নিজেই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনালাপে আলাপ করেছেন বলে একটি অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়ে পুলিশ কমিশনার জানান। তিনি বলেন, রাজশাহীর সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং ভোটারদের সহমর্মিতা পাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নির্বাচনী ওই গণসংযোগে নিজেরাই বোমা হামলা চালিয়েছে।