মন্ত্রিসভায় নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন

ইটভাটা স্থাপনে লাইসেন্স লাগবে

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

ইটপ্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপনে এখন থেকে সরকারি দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ইট প্রস্তুত করলে এক বছর জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তি পাবে। এমন বিধান যুক্ত করে সরকার একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৮ নামে এ আইনের খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। দুপুরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১২ সালে ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুতের বিষয়ে একটি আইন করা হয়। সময়ের প্রয়োজনে আইনটি হালনাগাদ করা প্রয়োজন। এ কারণেই আইনটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সংশোধনের প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটি আজ অনুমোদন করা হয়েছে। প্রস্তুাবিত আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন করতে হলে আগাম লাইসেন্স নিতে হবে। পুড়িয়ে ইট তৈরি করতে হলেও নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে। তবে কেউ যদি সিমেন্ট ও বালু মিশ্রিত করে ব্লক বা ভেতরে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি করে যা পোড়ানোর প্রয়োজন হয় না- এসব ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগবে না। মূলত পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন ও ব্যবহারে সর্বসাধারণকে উৎসাহী করার জন্যই এই আইনটি করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, কেউ যদি এই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে লাইসেন্স না নিয়ে ইটভাটা প্রস্তুত করে ও আগুনে পুড়িয়ে ইট উৎপাদন করে তাহলে তার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। পাহাড় কেটে বা খাল থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটায় ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে এ আইনে।

শফিউল আলম বলেন, এছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ নামে পৃথক আরেকটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।