সদরঘাটে মানুষের ঢল

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ভিড়। ফোকাস বাংলার পুরোনো ছবি

আর কয়েক ঘণ্টা পর ঈদুল আজহার উৎসব শুরু হবে। মাঝখানে একটি মাত্র রাত। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবে স্বজনদের সঙ্গে কাটাতে এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অধিকাংশ মানুষ। শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভিড় করছেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফেরার জন্য নৌপথকে বেছে নেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর লঞ্চ ছাড়লেও সকাল থেকেই সদরঘাটে অবস্থান নেন লঞ্চযাত্রীরা। বিশেষ করে যাঁরা কেবিন বুকিং দিতে পারেননি, তাঁরা আগে থেকেই লঞ্চের ডেকে চাদর বিছানোর জায়গা খুঁজছেন।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় লঞ্চেই যাতায়াত করেন এ অঞ্চলের লাখো মানুষ। তাই অন্যান্য টার্মিনালের চেয়ে সদরঘাটে ভিড় একটু বেশি হয়। আজ ঈদযাত্রার শেষ দিনে মানুষের স্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। লঞ্চঘাটের দিকে জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা নদীবন্দরে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জয়নুল আবেদিন বলেন, এবার মোট ৪১টি রুটে ২০৬টি লঞ্চ চলাচল করবে সদরঘাট থেকে। এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), কোস্টগার্ড, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), আনসার বাহিনী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নিজস্ব ডুবুরি দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং নৌ-নিরাপত্তার ক্যাডেট দল কাজ করছে।

নৌ নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক আরো বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের যাতে কোনোভাবে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছি আমরা। কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সদরঘাট টার্মিনাল থেকে সরাসরি বরিশাল ছাড়াও চাঁদপুর, হুলারহাট, পিরোজপুর, ভাণ্ডারিয়া, শরীয়তপুর, বরগুনা, ভোলা, চরফ্যাশন, দুমকী, আমতলীসহ বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল করে।

ঢাকা নদীবন্দর নৌযান পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা জানান, এবার আবহাওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যেন দ্রুত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত পাঠানো যায়।