শোলাকিয়ায় কঠোর নিরাপত্তায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : এনটিভি

দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ছিল ঈদুল আজহার ১৯১তম জামাত। আজ বুধবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন মার্কাজ জামে মসজিদের খতিব মুফতি হিফজুর রহমান। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খাদেমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জামাতে অংশ নেন।

এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুই প্লাটুন বিজিবিসহ র‍্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় মুসল্লিদের। তা ছাড়া মুসল্লিদের ওপর নজরদারি করতে মাঠে ওড়ানো হয় ড্রোন ক্যামেরা।

জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অন্য ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

জনশ্রুতি আছে, কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়ায় সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।