কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে পর্যটকদের মিলনমেলা

Looks like you've blocked notifications!

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঈদুল আজহার ছুটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সেইসঙ্গে বাড়িফেরা মানুষ ও স্থানীয়দের কমতি নেই পর্যটন স্পটগুলোতে। আর এ পর্যটকের ভিড়ে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প যেন ফিরে পেয়েছে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য। বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের এই ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণপিপাসু নানা বয়সের হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন। কেউ নিজে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা নিজের পছন্দের মানুষটিকে নিয়ে দেখতে এসেছেন সাগরকন্যা কুয়াকাটা। পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে কুয়াকাটা খাবার হোটেলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেনাবেচার ধুম পড়েছে। অধিকাংশ হোটেল, মোটেলের রুম আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় সদ্য কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভালো রুম পেতে কষ্ট হলেও কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে গোসল করতে দেখে গেছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধবিহার, জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, শুঁটকিপল্লী, রাখাইন মহিলা মার্কেট, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লাল কাঁকড়ার চর, ইলিশ পার্কসহ পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের ভারে মুখর হয়ে আছে। আর এসব পর্যটকের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাজ করছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।

তবে পাখিমারা থেকে মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কব্যবস্থা সংস্কার অথবা নতুন করে নির্মাণের কথা জানিয়েছেন অনেক পর্যটক। এ ছাড়া সৈকতে জেগে ওঠা পুরোনো স্থাপনার অংশ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

ময়মনসিংহ থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা মো. কিবরিয়া বলেন, ‘কুয়াকাটার ভাঙন রক্ষায় সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে সৈকতে জেগে ওঠা পুরোনো স্থাপনার ভগ্নাংশ অপসারণ খুবই জরুরি। সৈকতে নেমে গোসল করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। গোসল করতে গিয়ে কয়েকজনের পা কেটে গেছে।’

আরেক পর্যটক রহমান মিয়া বলেন, ‘কুয়াকাটা আসলেই একটা দর্শনীয় স্থান। কিন্তু পাখিমারা থেকে মহিপুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সব কষ্ট ঘুচিয়ে দিয়েছে।’

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম জানান, সৈকতে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তায় কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।