গোপালপুরে আ. লীগের দুই পক্ষের জনসভায় ১৪৪ ধারা জারি

Looks like you've blocked notifications!
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলিন গ্রামের নইম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভার আয়োজন করেছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার। কিন্তু অপরপক্ষ পাল্টা জনসভা আহ্বান করায় ওই মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ছবি : এনটিভি

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় একই স্থানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের জনসভাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই আদেশ জারি করেন গোপালপুরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পাশের ভুয়াপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ। সেখানকার পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ অব্যাহত থাকবে। এদিকে ওই স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর ও ভুয়াপুর) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শুরু করেছেন সাংসদের বড় ছেলে মশিউজ্জামান রুমেল, গোপালপুর উপজেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদারসহ একাধিক নেতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেলে উপজেলার নলিন গ্রামের নইম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে জনসভার আয়োজন করেন।

সেই জনসভা ঠেকাতে একই সময় একই মাঠে জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন মশিউজ্জামান রুমেলের সমর্থক হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ অবস্থায় ওই স্থানে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করায় আওয়ামী লীগ তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি ১৪৪ ধারা স্থলের বাইরে পূর্ব ঘোষিত সভা করার ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। পরে ওই স্থানে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেখানকার পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ জারি থাকবে। 

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ওই স্থানে দুই প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।