বান্দরবানে বন্যহাতির আতঙ্ক

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের শত শত হেক্টর ফসলি জমি। ছবি : এনটিভি

বান্দরবানে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের শত শত হেক্টর ফসলি জমি। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বন্যহাতির পাল গ্রামে হানা দেওয়ায় বান্দরবানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সদর উপজেলার সূয়ালক ইউনিয়নবাসীর। হাতির ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত পার হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে হাতির পাল। ঘরবাড়ির পাশাপাশি মানুষের ফসল বিনষ্ট করছে। ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। তবে মাঝেমধ্যে গ্রামবাসী একত্র হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন।   

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, হাতির উপদ্রবের কারণে তারা ঘরবাড়িতে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। রাতের বেলা এসে হাতির পাল আক্রমণ করে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেছে। নতুন করে তারা ঘরবাড়ি তৈরি করতে পারছে না। এ কারণে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।  ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলি জমি সব নষ্ট করে ফেলছে। সোলার মেশিন নষ্ট হওয়ার পর তা সংস্কার না করায় এ সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান জেলার শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সদর উপজেলার সূয়ালক ইউনিয়ন। এখানে ফসলি জমি বসতি এবং জীবনরক্ষায় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৫ সালে সোলার ফেনসিং প্রকল্প হাতে নেয় বন বিভাগ। প্রকল্পের আওতায় সৌরবিদ্যুৎ লাইনের তার হাতির প্রবেশপথের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ঘেরাও দেওয়া হয়, যাতে বন্যহাতিরা ফসলি জমি এবং ঘরবাড়িতে হানা দিতে না পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লাইনের সংস্কার না করায় হঠাৎ বেড়েছে বন্যহাতির উপদ্রব। গ্রামবাসীর জানমাল রক্ষায় প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, সেদিকে তাকিয়ে আছে গ্রামবাসী।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন এনটিভিকে বলেন, ‘সৌরবিদ্যুতের সংস্কার করার পাশাপশি আগামী বছরের মধ্যে যেসব এলাকায় হাতির উপদ্রব হয়, সেসব এলাকায় আমরা আরো সোলার ফেনসিং নির্মাণ করার চেষ্টা করব।’