চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণের শিকার
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক কিশোরী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জুয়েল মাতুব্বর (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই হাসপাতালের সেবিকা সালমা বেগমের ভাই।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে জুয়েলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন কিশোরীর সৎমা। ওই দিন বিকেলেই হাসপাতাল সংলগ্ন শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত সেবিকা সালমা বেগমের বাড়ি থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ওই বাড়িতেই ধর্ষণের শিকার হন কিশোরী।
নির্যাতিতার মামা হাসপাতালে এনটিভি অনলাইনকে জানান, কিশোরীর ২১ দিন বয়সে তার মা মারা যান। এরপর থেকে সে নগরকান্দা উপজেলায় মামাবাড়িতে বসবাস করত। ১৫ দিন আগে গলায় টনসিলের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের নাক কান ও গলা ইউনিটে ভর্তি হয় ওই কিশোরী।
আগামী শনিবার তার অস্ত্রোপচার করার কথা।
হাসপাতালে গোসলখানা অপরিষ্কার থাকায় কিশোরী বেশ কয়েকদিন গোসল করেনি। হাসপাতালের সেবিকা সালমা বেগমও কিশোরীর মামাবাড়ি এলাকার। সে কারণেই সোমবার বিকেলে কিশোরী হাসপাতালের পাশে সালমার বাড়িতে গোসল করতে যায়। সেখানেই জুয়েল তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে সেবিকা সালমা বেগম মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, ওই কিশোরী আমাদের এলাকার মেয়ে। তাকে আমার ভাই জুয়েলই হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে এসেছিল। ওই দিন সে (কিশোরী) আমাদের বাসায় এসে গোসল ও খাওয়া-দাওয়া করে। পরে জুয়েলই তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
‘এর কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরীর নানী আমাকে মুঠোফোনে জানায় জুয়েল তাকে ধর্ষণ করেছে।’ যোগ করেন সালমা বেগম।
ফরিদপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল মাতুব্বর।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণাধীন ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) চিকিৎসাধীন রয়েছে। জুয়েলকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গণপতি বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনাটি আজ আমার গোচরে আসে। ওই কিশোরীটি বর্তমানে আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের সেবিকা সালমা বেগমকে বুধবার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে বরখাস্ত করার জন্য বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলে (বিএনসি) সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।