বিধি মেনে বরাদ্দ বাতিল, আ. লীগ নেতার দাবি

Looks like you've blocked notifications!
জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী আজ বুধবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি : এনটিভি

জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী দাবি করেছেন, সব নিয়ম ও বিধি মেনে জেলা পরিষদের দোকানঘর ইজারা পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক বাতিল করা হয়েছে আগের ইজারা।

আজ বুধবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এস এম সোলায়মান আলী এ দাবি করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনোয়ারা বেওয়া নামের এক নারী অভিযোগ করেন, এস এম সোলায়মান প্রভাব খাটিয়ে জেলা পরিষদ বিপণিবিতানের দোকান ঘরের ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে বরাদ্দ দিয়েছেন। এরফলে ৩৫ বছর নিজের কাছে থাকা দোকান হারান আনোয়ারা। ওই দোকান সোলায়মানের শ্যালক মদিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক এনায়েত উল্লাহকে বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে আনোয়ারা জানান। 

এস এম সোলায়মান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওই মহিলা বিএনপির সক্রিয় কর্মী। সে কারণে বিএনপির কিছু নেতার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।’

এস এম সোলায়মান জেলা পরিষদের দোকান ঘর ইজারা সংক্রান্ত সব নিয়ম ও বিধি পুরোপুরি মেনে আনোয়ারা বেওয়ার দোকান ঘরের ইজারা বাতিল করে পরে তা বিধি মোতাবেক পুনরায় (নতুন করে) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ সময় তিনি বিধি সম্মত ভাবে আনোয়ারা ইজারা বাতিল ও নতুন বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে প্রমাণাদির বিভিন্ন চিঠি ও সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুলিপি উপস্থাপন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম সোলায়মান। ওই বক্তব্যে তাঁর নিজের স্বাক্ষরের পাশাপাশি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেনের স্বাক্ষর ছিল। সংবাদ সম্মেলনেও মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

এস এম সোলায়মান আলী বলেন, ‘আনোয়ারার স্বামী গিয়াস উদ্দিনের নামে দোকান বরাদ্দ দেওয়া ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম তাঁর নিজ নামে বা ছেলের নামে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ না করায় এবং শর্ত ভঙ্গ করে ওই ঘরটি নিজেরা আবার ইজারা (সাবলিজ) প্রদান করে। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। এ ছাড়া ঘরের ভাড়াও নিয়মিত পরিশোধ করেন না আনোয়ারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দের সব নিয়ম এবং সরকারি আইন কানুন মেনে তার ঘরের বরাদ্দ বাতিল এবং পরে তা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়ম কানুন মেনে সর্বোচ্চ দরদাতাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি যা নথি দেখলেই বোঝা যাবে।’