পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, শিক্ষক বরখাস্ত

Looks like you've blocked notifications!

পঞ্চগড়ের বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সহকারী শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক রাজুকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয়ে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাঁকে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকমণ্ডলীর জরুরি সভা আহ্বান করি। সভায় শিক্ষক রাজুকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা।

প্রধান শিক্ষকের কাছে করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক রাজুর বাসায় প্রাইভেট পড়ত ওই ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন। গত ২৬ আগস্ট প্রতিদিনের মতো সে প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে অন্য সহপাঠীরা না আসায় বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে বসতে বলেন আবদুর রাজ্জাক রাজু।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বাসায় এবং আশপাশে কেউ না থাকায় সে সময় তাকে জড়িয়ে ধরে কুপ্রস্তাব দেন ওই শিক্ষক এবং তার শ্লীলতাহানি করেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বাসায় গিয়ে বিষয়টি সে তার মাকে জানায়।

পরে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রোববার স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ওই স্কুলছাত্রী।

অভিযোগকারী ছাত্রী বলে, ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষকের মতো আচরণকারী ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

তবে, আবদুর রাজ্জাক রাজু তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। আপনারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।’

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগেও আবদুর রাজ্জাক রাজু এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তখনো তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে হুশিয়ার করে দিয়েছিল।