মুন্সীগঞ্জে এইডস রোগীর সংখ্যা ২০৮ জন

Looks like you've blocked notifications!
আজ মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে এইচআইভি/ এইডসবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ছবি : এনটিভি

মুন্সীগঞ্জ জেলায় এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৮ জন। এর প্রধান কারণ জেলার বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রবাস জীবন এবং চিকিৎসা গ্রহণে অনীহা ও অসচেতনতা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে এইচআইভি/ এইডসবিষয়ক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় এইডস/ এসটিভি কন্ট্রোল সারা দেশে ২০১৭ সালে এইডস আক্রান্ত রোগীর একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এই পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে বিভিন্ন জেলার এসব তথ্য।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৮ জন। মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি বড় অংশ দেশের বাইরে আছে। এ ছাড়া প্রায়ই তাঁরা দেশে আসা-যাওয়া করেন। এই জেলার ৬৫ শতাংশ মানুষের এইডস আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এটিই প্রধান কারণ বলে তাঁরা মনে করেন।

তবে আরো বেশ কিছু কারণ জানান বক্তারা। এর মধ্যে রয়েছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা গ্রহণে অনীহা এবং পিছপা হয়ে থাকা, সামাজিক সম্মান ও আত্মমর্যাদার কথা মাথায় রেখে সেবা গ্রহণ না করা।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি/ এইডস সংক্রমণ বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়। বক্তারা কর্মশালায় জানান, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচার-প্রসারের মাধ্যমেই এইচআইভি/ এইডস বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুমন বণিকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/ এসটিভির প্রোগ্রাম পরিচালক ডা. শেখ মোস্তফা সাদিক খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মুন্সীগঞ্জ শাখার সভাপতি ডা. মো. আখতার হোসেন বাপ্পি।

আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাখাওয়াত হোসেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা দেবরাজ মালাকার, জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আসিফ আহম্মেদ প্রমুখ।