অভিজিৎ হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন ৪ অক্টোবর

Looks like you've blocked notifications!

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি ও বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘খুব শিগগির অভিজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

মূল আসামি মুকুল রানা গত বছরের ১৯ জুন ভোরে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ ঘটনার পরে পুলিশ সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। সেখানে অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে অনুসরণকারী হিসেবে এক যুবককে চিহ্নিত করে বলা হয়, এই যুবকই নিহত মুকুল।

এই মুকুলসহ ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে এর ঠিক এক মাস আগে পুরস্কার ঘোষণা করে ডিবি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ।

আবার চট্টগ্রাম থেকে আটক ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী ও অনন্ত বিজয় দাস খুনের আসামি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহীর বিরুদ্ধে অভিজিৎ হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্য ছয়জন হলেন ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, আবুল বাশার ও জাফরান হাসান।